প্রেমিককে কুপিয়ে খুন, কেনিয়া সুন্দরীর মৃত্যুদণ্ড
বয়ফ্রেন্ডকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল প্রাক্তন কেনিয়া সুন্দরী রুথ কামান্ডেকে। ২০১৫ সালে বয়ফ্রেন্ড ফরিদ মোহাম্মদকে কুপিয়ে খুন করেন এই সুন্দরী। প্রায় তিন বছর বিচার চলার পর তাকে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় কেনিয়া হাই কোর্ট।
বিচারাধীন অবস্থাতেই ২০১৬ সালে মিস ল্যাঙ্গাটা প্রিজন খেতাব জেতেন রুথ। সেই সময় তার বয়স ছিল ২২ বছর। বিভিন্ন মামলায় বন্দী মহিলাদের নিয়ে আয়োজিত হয় এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তিন বছরের মাথায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হল তাকে। অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহে ২৪ বছর বয়সী প্রেমিক ফরিদকে পিঠে, পেটে, গলায় কুপিয়ে খুন করেন রুথ।
সম্পর্কিত খবর
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করলেও বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারক জেসি লেসিট জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমস্ত মানুষকে বিশেষ করে অল্পবয়সী যুবক যুবতীদের বলতে চাই ক্ষমা করতে শেখাটাও বড্ড দরকার। হতেই পারে প্রেমিক বা প্রেমিকার সম্পর্কে বহু সমস্যা হচ্ছে, হতাশা আসছে তবু, কাউকে মেরে ফেলাটা কখনোই পথ নয়।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে যদিও এই রায়কে নিষ্ঠুর, অমানবিক বলেই মন্তব্য করা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই মৃতের পরিবারের সকলেই এই রায়ে খুশি। ফরিদের কাকীমা এমাহা ওয়ানজিকু জানান, সবে মাত্র চাকরি শুরু করেছিল ছেলেটা। এমন ভাবে কুপিয়ে যে খুন করতে পারে তার মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি।
যদিও রুথের পক্ষের আইনজীবি জয়নার ওকোঞ্জো ফের মামলার রায় চেয়ে আবেদন করেছেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট জানায় খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডই হবে একমাত্র শাস্তি। অস্ত্র নিয়ে ডাকাতিকেও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
/অ-ভি