• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘বিয়ে মানেই যৌনতার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে তা নয়’

প্রকাশ:  ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৫:৪৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ বা বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপারে সই করে দেওয়ার মানেই এটা নয় যে, যৌনতার জন্য বিবাহিতা স্ত্রীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। অর্থাৎ বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলেই স্বামী যৌনমিলনের ইচ্ছায় সবসময় সম্মত হতে হবে স্ত্রীকে তার কোনও মানে নেই। বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের।

বৈবাহিক ধর্ষণকে অবিলম্বে ‘অপরাধ’ হিসেবে মান্যতা দেওয়ার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয় একটি পিটিশন। সেই পিটিশনের শুনানিতেই মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) এই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ সামনে আসে।

হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি গীতা মিত্তল ও সি হরি শঙ্করের বেঞ্চ জানায়, শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনে না বলার অধিকার পুরুষ মহিলা উভয়েরই আছে। বিবাহিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই অধিকার কোনোভাবেই লুপ্ত হয়ে যায় না।

হাইকোর্টের মতে, বিয়ে মানেই শারিরীক সম্পর্কের ফ্রি পাস নয়। তেমনি বিয়ে মানেই একজন স্ত্রীকে সবসময় যৌনতার জন্য সম্মত থাকতে হবে এমন নয় ৷ স্বামী চাইলেই তার শারিরীক চাহিদাকে পূরণের জন্য স্ত্রীকে জোর করতে পারেন না। বিয়ের ক্ষেত্রে বা বৈবাহিক ধর্ষণের প্রশ্নে যৌনমিলনে যে স্ত্রীয়ের সম্মতিতেই হয়েছে তা স্বামীকেই প্রমাণ করতে হবে।

মেন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আদালতের এই মতের বিরোধিতা করে একটি পিটিশন দায়ের করেছিল। তাতে আদালত অসম্মতি প্রকাশ করলেও জানিয়েছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধু বল প্রয়োগ নয়, নির্যাতিতার শরীর ও মনের আঘাতের দিকেও নজর দিয়ে বিচার করা হয়। বর্তমান সমাজে ধর্ষণের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে।

RIT ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ওম্যান অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি তোলা হয়েছিল যে, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় বিবাহিত মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিবাহে নারী-পুরুষের মধ্যে যৌনমিলনকে কখনই ধর্ষণ বলা যাবে না।

/অ-ভি

বিয়ে,যৌনতা,দিল্লি,হাইকোর্ট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close