পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করল সেনাবাহিনী
আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ দলকে বিজয়ী করার চেষ্টা করছে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আসন্ন এ নির্বাচন ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটের দিন সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ৭১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে বলেও পাক সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে সেদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উঠেছে যে, সেনাবাহিনী পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং তারা এ কাজে গণমাধ্যমকে এমনভাবে ব্যবহার করছে যাতে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে।
সম্পর্কিত খবর
বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও তার কন্যাকে কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দেখছেন পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা।
এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পাক সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোর ভেতরে ও বাইরে তিন লাখ ৭১ হাজার ৩৮৮ জন সৈন্য মোতায়েন থাকবে যা ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ভোটে মোতায়েন সেনার চেয়ে তিনগুণ বেশি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনী আসন্ন ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেনাবাহিনী ইমরান খানের দলকে জিতিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নেতিবাচক জবাব দিয়ে জেনারেল গফুর বলেন, “আমাদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই। আমরা কারো আনুগত্য করি না।”
ইমরান খান এরইমধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দলের আঁতাতের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দেশটির ইতিহাসের প্রায় অর্ধেক সময় সরাসরি শাসনক্ষমতা হাতে রেখেছে। বাকি সময়েও জননির্বাচিত সরকারের ওপর মারাত্মক প্রভাব বজায় রেখেছে এই বাহিনী।
/আরকে