রাতে মধুচক্রের আসর থেকে উদ্ধার ৮ তরুণী
গেষ্ট হাউসে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্রের আসর। ঘণ্টার হিসাবে দেওয়া হত ঘর ভাড়া। মনোরঞ্জনের জন্য দালাল মারফত মহিলাদের আনা হত এখানে। দেহ ব্যবসা চালাতে সামাজিক মাধ্যমকেও ব্যবহার করত দালালরা। মহিলাদের ছবি দিয়ে জোগাড় করা হত ক্লায়েন্ট। নিখুঁত ভাবে চলত দেহ ব্যবসার কাজ।
বুধবার (১২ জুলাই) রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারতের কোন্নগড় স্টেশন সংলগ্ন পৌরসভার একটি গেষ্ট হাউসে হানা দেয় সিআইডির এক বিশেষ দল।০ সেখান থেকে ১২ জন গ্রেফতার করার পরই মিলেছে এমন তথ্য। তাদের মধ্যে এক নাবালিকাসহ আট জন মহিলা ও চার জন পুরুষ। খোদ পৌরসভার গেষ্ট হাউসে এমন ঘটনায় কাঠগড়ায় কোন্নগড় পুর কর্তৃপক্ষ।
সম্পর্কিত খবর
ওই দিন রাতে ১০ জনের একটি সিআইডি টিম ওই গেস্ট হাউসে হানা দেন। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি মোবাইল, নগদ ১০ হাজার টাকা ও নিষিদ্ধ ছবির ডিভিও ও ৪৬টি কনডম। এই গেস্ট হাউস টি সিআইডি অফিসাররা সিল করে দিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে ওই গেষ্ট হাউসে রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসা। তিন তলা ওই বাড়ির ৫-৬টি ঘরে গভীর রাত পর্যন্ত চলত মধুচক্রের আসর।
প্রাথমিক তদন্তে সিআইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ঘণ্টার হিসাবে ঘর ভাড়া দেওয়া হত। এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া গুণতে হত ৪০০-৫০০ টাকা। গ্রাহক পেতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা হত। সেখানে তরুণী ও মহিলাদের ছবি পাঠানো হত গ্রাহকদের। পছন্দ হলেই টাকার বিনিময়ে এই কারবার চলতো।
এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তরুণীদের তারকেশ্বর, শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটি থেকে নিয়ে আসা হত। আর গ্রাহকদের বেশিভাগই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আসত তারা।
এই ঘটনায় আঙ্গুল উঠছে কোন্নগড় পৌরসভার দিকেও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই গেষ্ট হাউসে রমরমিয়ে চলত দেহব্যবসা। পৌরসভাকে বারবার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে কোন্নগড় পুর কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।
/অ-ভি