ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হলে কী করবে ট্রাম্প প্রশাসন
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের বাকি প্রায় একমাস। আর সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারে তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হবেন দলটির প্রধান ইমরান খান। কিন্তু আফগানিস্তানে মার্কিন ভূমিকার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান ট্রাম্প প্রশাসনকে ফেলতে পারে জটিলতায়।
এ নিয়ে ডয়েসে ভেলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে ইমরান প্রধানমন্ত্রী হলে মার্কিন নীতি কী বদলাবে না হলে কীভাবে কাজ করবে। এ বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সরাসরি উত্তর না দিলেও, কূটনৈতিক জবাবেই দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইমরান খানের বড় পরিচিতি একজন সমাজকর্মী হিসেবে। নিজের দেশে তিনি একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল পরিচালনা করেন। একজন ক্যারিশম্যাটিক চেহারার অসাধারণ সাবেক খেলোয়াড় হিসেবেও পশ্চিমা নারীদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এখনো ইমরান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ওয়াশিংটনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি।
সম্পর্কিত খবর
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ডয়েচে ভেলেকে জানায়, ‘মার্কিন সরকার পাকিস্তানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পক্ষে। সে দেশের নাগরিকরা যাকে নির্বাচিত করবেন, আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নতির লক্ষ্যে একই ধরনের এজেন্ডা নিয়ে তাঁর সঙ্গেই কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।’
এই বক্তব্যই তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খান সম্পর্কে মার্কিন সরকারের মনোভাব স্পষ্ট করে। ভুট্টো বা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা জানা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু ইমরান খানের ক্ষেত্রে তা নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হোসেইন হাক্কানি বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অন্য পাকিস্তানি নেতাদের যেভাবে সামলেছে, ইমরান খানও তার ব্যতিক্রম হবেন না।’ -একে