আমরা শান্তির লক্ষ্যে কাজ করব, বৈঠক শেষে ট্রাম্প-কিম
সব জল্পনা, প্রতীক্ষার অবসান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ জুন) ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়) সিঙ্গাপুরের স্যান্টোসা দ্বীপের হোটেল দ্য ক্যাপেলোতে মুখোমুখি বসলেন বিশ্বের সব থেকে আলোচিত দুই রাষ্ট্রপ্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। খবর: আনন্দবাজার
ঘণ্টাখানেক কথা হয় তাদের মধ্যে। শেষে তারা যখন এক সঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে এলেন, তখন যেন গোটা বিশ্বের ‘ফোকাস’ তাদের উপরই। করমর্দন করলেন তারা। পরে ট্রাম্প বললেন, বৈঠক খুব ভাল হয়েছে। সব সমালোচনা, অনুমান ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক দারুণ।
সম্পর্কিত খবর
আর কিমের সরল স্বীকারোক্তি, আমরা শান্তির লক্ষ্যে কাজ করব। তবে এই দিনটা যে সহজে আসেনি, তা-ও স্বীকার করে নিয়েছেন কিম।
বৈঠকে কিম বলেন, অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু, আমরা সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে আজ এই আলোচনার টেবিলে বসেছি।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় তখন সকাল ৯টা। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দক্ষিণের রিসর্ট-দ্বীপ সেন্টোসার ক্যাপিলা হোটেলে। দুই রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া প্রথমে বৈঠক হলে ঢোকার অনুমতি ছিল দুই নেতার সঙ্গে থাকা শুধু দোভাষীর।
প্রায় ৪০ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন তারা। পরে সেখানে যোগ দেন দু’দেশের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারাও। এ দিনের বৈঠকের বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চায়নি হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশে ফেরার পরই এ বিষয় যাবতীয় তথা জানানো হবে বলে হোয়াইট হাইস সূত্রে খবর। যদিও, বৈঠক শেষে ট্রাম্প এবং কিম দু’জনই বললেন একটা বড় সমস্যার সমাধান হল।
কূটনৈতিক মহলের মতে, কিম বা ট্রাম্প তাদের দু’জনকেই বোঝা দায়! বৈঠক পরবর্তী সময়ে দু’জনই কী শান্তির পথে থাকবেন? কিম পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কতটা গুরুত্ব দেবেন? তার দেশে মজুদ থাকা পরমাণু ধ্বংস করতে আদতে রাজি হবেন কিম?
আবার, উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে যে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার মার্কিন সেনা মজুদ রয়েছে, তা সরিয়ে নিতে রাজি থাকবেন ট্রাম্প? এই বৈঠকে কি মেটাবে দুই কোরিয়ার দ্বন্দ্ব? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিশ্বের কূটনৈতিক মহল।